একটি শিক্ষণীয় গল্প - গৌতম বুদ্ধ
একটি শিক্ষণীয় গল্প - গৌতম বুদ্ধ
গৌতম বুদ্ধ সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়ায় পর একদিন এক গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে গৌতম বুদ্ধকে এক মহিলা জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে মহাত্মা, আপনি তো দেখতে রাজকুমারের মতো, আমি কি জানতে পারি, এই যুবাবস্থায় আপনি কেন গেরুয়া বস্ত্র ধারন করলেন?
বুদ্ধ খুবই বিনম্রভাবে উওর দিলেন যে, তিনি তিনটি প্রশ্নের উওর খোঁজার জন্য সন্ন্যাসী হয়েছেন। এই শরীর যা যুবা বা আকর্ষক কিন্তু শীঘ্রই এটা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, তারপর অসুস্থ এবং পরিশেষে মৃত্যুর মুখে চলে যাবে। আমাকে বৃদ্ধাবস্থা, অসুস্থ(রোগ) এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে।
গৌতম বুদ্ধর কথায় প্রভাবিত হয়ে ঐ মহিলা বুদ্ধকে ভোজনের নিমন্ত্রণ জানালেন। শীঘ্রই এই কথা সারা গ্রামে ছড়িয়ে গেল। গ্রামবাসীরা গৌতম বুদ্ধ-এর কাছে আসলো এবং বললো উনি যেন ঐ মহিলার ঘরে ভোজন না করেন, কেননা সে হলো চরিত্রহীন।
বুদ্ধ গ্রামের প্রধানকে বললেন, আপনিও কি মানেন যে ঐ মহিলা চরিত্রহীন?
গ্রাম প্রধান বললেন, হে মহাত্মাজী, আমি শপথ নিয়ে বলছি যে ঐ মহিলা চরিত্রহীন।
এবার গৌতম বুদ্ধ গ্রাম প্রধানের ডান হাতটি ধরলেন
এবং তালি বাজাতে বললেন।
গ্রাম প্রধান বললেন, আমি এক হাতে কিভাবে তালি বাজাবো?
তখন মহাত্মা বুদ্ধ বললেন, ঠিক সেইভাবে ঐ মহিলা একা একা চরিত্রহীন কিভাবে হতে পারে? যদি না এই গ্রামের পুরুষলোকেরা চরিত্রহীন না হয়। যদি এই গ্রামের সকল পুরুষ ভাল হতো তাহলে ঐ মহিলা এই রকম হতো না। এইজন্য এই মহিলার চরিত্রহীন হওয়ার পিছনে এই গ্রামের পুরুষরাই দায়ী।
চরিত্রহীন ব্যক্তির কামনা বাসনা স্ত্রীলোকের মধ্যে ব্যাভিচার আর নির্লজ্জতা উৎপন্ন করে আর নির্লজ্জ আর ব্যভিচারিনী মহিলারাই এই সমাজের পুরুষদেরকে চরিত্রহীন বানাতে সাহায্য করে। তাই এক হাতে কখনোই তালি বাজেনা এই কথাটি সবসময় মনে রাখবেন।
গৌতম বুদ্ধ-র কথা শুনে গ্রামবাসী লজ্জা পেলো।
No comments