আমরা বন্ধুর কণ্ঠে যা শুনি - রুমির কবিতা ৪২
তুমি যদি আমার আত্মার বন্ধু হও, তাহলে আমি যা বলি তা শুধু আমার দাবি নয়। তুমি হয়তো মধ্যরাতে আমার কথা শুনতে পাবে, অন্ধকারে বেরিয়ে এসো ভয় প...
পা হয়ে যায় মাথা - রুমির কবিতা ৪১
সূর্য উঠেছে আজ ভিন্নভাবে। আত্মা পরিবর্তিত আলোর ভিতর দিয়ে চলে। বৃহস্পতি, চাঁদ, সৌভাগ্যের বাড়ি যেখানে আমরা বসবাস করি, বন্ধুরা আজ সকলেই সেখান...
নুড়িপাথরের জিকির - রুমির কবিতা ৪০
আবু জেহেলের হাতে কিছু নুড়িপাথর ছিল। ‘মুহাম্মদ! তাড়াতাড়ি বলো, আমি আমার মুঠোতে কী লুকিয়ে রেখেছি। তুমি বলো তুমি আল্লাহর রাসূল, যিনি সব ...
হাঁসের বুদ্ধি - রুমির কবিতা ৩৯
ইউসুফ কে? তোমার হৃদয়, যে সত্য খুঁজছে সেই হৃদয় এখন কারাগারে বন্দী। যখন তুমি মুখোমুখি সাক্ষাৎ ছাড়া আর কিছুই চাও না তখন তারা তোমাকে খাওয়ানোর জ...
অন্তঃসার - রুমির কবিতা ৩৮
এই আপেলের বাগানটি যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি এটাকে ভাষার রহস্যে লুকিয়ে রেখেছেন, যদিও কিছু সুগন্ধ বেরিয়ে আসে। সেই সুগন্ধের ঘ্রাণ পেতে তোমার নাক...
আত্মা ও বৃদ্ধা নারী ৩৭
আত্মা কী? আত্মা হলো আমাদের সচেতনতা। যত বেশি সচেতনতা, তত বেশি আত্মার গভীরতা। যখন এই সত্তা উপচে পড়ে তখন চারপাশে এক পবিত্রতা অনুভূত হয়। যখন ...
আত্মার ছবি - রুমির কবিতা ৩৬
ও আমার আত্মা, আমরা যাকে বিশ্ব বলে ডাকি ছয়-পার্শ্বযুক্ত সেই আয়নাবাক্সের প্রতিটি দিকেই তোমার ছবি আছে, কিন্তু আয়না তো শুধুমাত্র তার ক্ষমতা...
ঘুরতে আসা আধ্যাত্মিক ক্রেতা - রুমির কবিতা ৩৫
এই ঘুরতে আসা আধ্যাত্মিক লোকেরা যারা নিস্পৃহভাবে জিজ্ঞাসা করে– ‘এই জিনিসের দাম কত?’ তারা বলে, আমি শুধু দেখতে এসেছি। তারা শতশত জিনিস হাতে নেয়...
চারটি বিঘ্নিত প্রার্থনা - রুমির কবিতা ৩৪
চারজন ভারতীয় একটি মসজিদে ঢুকে প্রার্থনা শুরু করল গভীরভাবে। একজন মুয়াজ্জিন পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, একজন প্রার্থনাকারী জিজ্ঞাসা করলেন– ‘...
আমরা যা চাই তার ভিন্ন চারটি নাম ৩৩
এক লোক চারজন ভিন্নভাষীকে খরচ করার জন্য একটি মুদ্রা দেয়। পার্সিয়ান লোকটা বলে, ‘এই মুদ্রা দিয়ে আমি আঙুর কিনতে চাই।’ আরব লোকটা বলে, ‘তুমি ব...
প্রিয় আত্মা - রুমির কবিতা ৩২
প্রিয় আত্মা, আমরা যখন প্রেমের রাজ্যে পৌঁছে যাই তখন আর আমাদের জেদ থাকে না থাকে না কোনো আফসোস, জেদ আর আফসোস উভয়ই অত্যন্ত অযৌক্তিক হয়ে ওঠে। ...
ট্যারা চোখের ছাত্র - রুমির কবিতা ৩১
এমন মানুষ আছে যারা মোশির আইনকে গ্রহণ করে কিন্তু যীশুর অনুগ্রহ এবং ভালোবাসাকে গ্রহণ করে না, ঠিক যেনো ইহুদি রাজার মতো যিনি খ্রিস্টানদের হত্যা...
পথ নিজেই আসুক - রুমির কবিতা ৩০
ইচ্ছা জাগে, আমার বাসনা এবং আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়। আমি বাঁধা পড়ে গেছি, যেখানে গিঁটের উপরে গিঁট। তারপর তুমি এসেছ আমাকে মুক্ত করতে ‘পথে’ থা...
তোমার চেহারা ২৯
হয়ত তুমি প্রস্থানের পরিকল্পনা করছ, একটি মানব আত্মা প্রায় সমস্ত মাধুর্য নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে যায়। তুমি তোমার ঘোড়ার পিঠে বসার স্থান করে ...
ভারতীয় বৃক্ষ - রুমির কবিতা ২৮
এক বিজ্ঞ ব্যক্তি একবার কিছু বলার খাতিরে বলেছিলেন, ‘ভারতে একটি বৃক্ষ আছে, যদি তুমি সেই বৃক্ষের ফল খাও, তুমি কখনো বুড়ো হবে না, এমনকি কখন...
খলিফা ওমর এবং বৃদ্ধ কবি - রুমির কবিতা ২৬
বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন কবি। তার কণ্ঠস্বর ফ্যাসফ্যাসে এবং রূঢ়, তার বীণার কিছু তার ছিড়ে গেছে। যে কবিতা একসময় আত্মাকে সতেজ করতো এখন তা আর ক...
একই সঙ্গীত - রুমির কবিতা ২৭
যা-কিছু প্রশংসিত তা একজনের জন্যই এবং সমস্ত প্রশংসাও তাঁর। বহু জগ থেকে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বিশাল পাত্রের ভিতর। সব ধর্ম এবং সমস্ত সঙ্গীত মূলত এ...
একটি জাহাজ শূন্যতায় ভেসে চলেছে ২৫
শুধুমাত্র তোমার সাথে মিলনই আনন্দের বাদবাকি সবই একটি ভবন ভেঙে আরেকটি ভবন স্থাপন করার প্রচেষ্টা। কোনোকিছুর আকার ভেঙে ফেলো না! পানি ছাড়া নৌক...