প্রবন্ধ - জীবনকথা

আমার এক ক্লাসমেট আমাকে বলেছিল– তুই যে এইসব বালছাল করে বেড়াস, শেষে তোর ভাত হবে না, আমাদের কাছে হাত পাততে হবে। এইসব নেতিবাচক কথা কখনোই আমার মাথায় ঢুকিনি, ওরা যতবেশি আমার নামে বাজে কথা বলত, আমি ততবেশি কাজে উৎসাহ পেতাম।

ভার্সিটি পড়াকালীন সময় আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করেছি। বারবার সংগঠন বদলে অন্য সংগঠনে গিয়েছি, সত্যের সন্ধানে নানা পথ-মত খুঁজেছি। মুখোশধারী ধান্ধাবাজদের ভিড়ে আমি কোথাও সত্যের সন্ধান পাইনি।

আমি কখনোই বসে থাকিনি, বারবার ছুটে গিয়েছি ভিন্ন-ভিন্ন পথে আর মতে। বন্ধুদের ভিতর সবার আগে আমি জবে ঢুকেছি। হয়তো তাদের চোখে আমার জবের কোনো মূল্য নেই তবে আমার কাছে আমার প্রতিটি পদক্ষেপই জীবনের পথে এক সুবিশাল যাত্রা।

আমার প্রিয় মানুষগুলো কষ্টে আছে আর আমি সেখানে বসে-বসে বড়ো-বড়ো স্বপ্ন দেখবো এটা আমার কাছে বিলাসিতা। প্রিয় মানুষগুলোর চোখের জল হয়তো আমাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে কিন্তু যখন আমি অনেকদূর পৌঁছে যাবো তখন আমার জন্য চোখের জল ফেলার সেই প্রিয় মানুষটি হয়তো আর থাকবে না।

আমি জীবনে সবসময় একজন প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম, ছোট্টো এই দেশটাকে ছোটোবেলা থেকেই মনেপ্রাণে খুব ভালোবাসি। কবিতা আমাকে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিল এক ভিন্ন জগতে, দেখিয়ে দিয়েছে সমস্ত বিশ্বজগত আর তার রহস্য।

কবিতার সাথে থাকতে থাকতে জীবন আমাকে কবি হতে বলেছিল কিন্তু বাস্তবতা আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে আরও অনেক দূরে। 

© আলমগীর কাইজার
১১.০৬.২০২১

No comments

Powered by Blogger.