কর্মই জীবন - আলমগীর কাইজার

কর্মই জীবন 


নিজের স্বপ্নের পথে পথ চলা খুব কঠিন একটা কাজ, সবাই পারে না। অধিকাংশ মানুষই একদিন স্বপ্নের পথ ছেড়ে দিয়ে সামাজিকতায় গা ভাসিয়ে সমাজের নিয়মে পথ চলতে শুরু করে। 

সবচেয়ে ধার্মিক ছেলেটা একদিন ধর্ম ছেড়ে চলে আসে সামাজিকতার বৃত্তের বাহিরে আবার প্রচন্ড গান প্রিয় সিনেমা ভক্ত এমনকি গানের গায়ক কিংবা সিনেমার নায়ক একদিন প্রচন্ড রকমের ধার্মিক হয়ে যায়।
এই সমাজে বদলে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ, পুরোনো পথে পথ চলা অন্ধের কাজ। কেউ বদলে যায়, কেউ কেউ পারে, অধিকাংশই পারে না। অনেকেই বাতাসের হালে বদলে গিয়ে নিজের স্বপ্নকে চাপা দিয়ে সমাজের দেখানো কর্মের পিছনে ছুটে যেতে বাধ্য হয়। 


স্বপ্নের এবং কাজের মর্যাদা মান ভালোবাসা না পেয়ে কেউ কেউ অন্যের দেখানো পথে পথ চলতে বাধ্য হয়।
এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবি(আমার কাছে) জীবনানন্দ দাশ বহু শ্রেষ্ঠ কবিতা লেখার পরও হতাশ হয়ে কবিতা লেখা ছেড়েই দিয়েছিলেন। বহু আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাস্তব জীবনে। আমাদের এই প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ তার নিজের জীবন দশাতে জানতেই পারেননি তিনি কত বড় কবি! তিনি তার স্বপ্নের বাস্তব রূপ এই পৃথিবীতে দেখে যেতে পারেননি।


বাঙালিদের কাজের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ সন্দেহ ছিল। বাঙালিরা নাকি যে কোনো কাজ অতি উৎসাহ নিয়ে শুরু করতে পারে কিন্তু কোনো কাজে স্থায়ী হতে পারে না। কিছুদিন কাজ করার পরই হাল ছেড়ে দেয়। ব্যর্থ কিংবা সফল যাই হোক বাঙালিরা সেই পথ থেকে ছিটকে পড়ে, নতুন কোনো পথে আবেগী হয়ে ওঠে।


যে যাই বলুক, কাজ মানুষকে আনন্দে বাঁচিয়ে রাখে। মৃত্যুর পরে নয়, মৃত্যুর আগেই জীবিত থাকার মূলমন্ত্র হলো কাজ। যে যত বেশি পরিশ্রমী, কর্মঠ ও একনিষ্ঠ সে তত বেশি জীবিত। আর মৃত্যুর আগে বেঁচে থাকা বা জীবিত থাকাই সকল মানুষের মূল লক্ষ্য।
কর্মই জীবন, কর্ম হোক সুন্দর।


© আলমগীর কাইজার 
২৮.০৩.২০১৮

2 comments:

  1. অনেক সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ

    ReplyDelete

Powered by Blogger.