কথা বলা এবং স্রষ্টার প্রেমের বৈচিত্র্য - রুমির কবিতা ৪৩
নুহ নবী মানুষকে পরিবর্তন করার চেষ্টায়
নয়শ বছর কথা বলেছেন।
মানুষেরা সন্দিহান থেকেছে
কিন্তু তিনি কখনো কথা বলা বন্ধ করেননি
এমনকি কখনো নীরবতার গুহায় প্রবেশ করেননি।
তিনি নিজেকে বলেন,
‘কুকুর ঘেউঘেউ করলে কি কাফেলা থেমে যায়?
প্রত্যেকেরই তার স্বভাব থেকে কিছু করার আছে।
আকাশে চাঁদ ওঠে
কুকুর ঘেউঘেউ করে
আর আমি কথা বলি।’
এই বাজারের মূলমন্ত্র হলো–
‘প্রত্যেকেই আলাদা কিছু বিক্রি করে,
কারণ স্রষ্টা বৈচিত্র্য উপভোগ করেন।’
আগুন কাঁটাকে মিষ্টান্নের মতো খেয়ে ফেলে।
শূকর গোবরকে সুস্বাদু পিঠা মনে করে।
সাপেরা এখানে তাদের বিষ ছড়ায়,
পাহাড়ের গহীনে মৌচাকে মধু তৈরি হয়।
ধুলিকণাগুলো ডানে-বামে উপরে-নিচে উড়ে যায়,
যা সূর্যের প্রাকৃতিক গতির অংশ।
একটি গাছের প্রাণশক্তি অনেক দিকেই শাখা বিস্তার করে।
কোরানে যা বলা হয়েছে, ‘আমরা ফিরে এসেছি,’ তা সত্য।
সংখ্যাগুলো বিশৃঙ্খলা এবং লড়াই করে
যদিও সেগুলো সবই শূন্য থেকে আসে।
বুনো নদীতে কী দারুণ শান্তির বৃষ্টি হয়
তা আমরা বলতে পারি না।
তারপরও আমরা কথা বলি,
হুসাম এবং আমি।
কেউ পুরো অক্সাস নদীর পানি পান করতে পারবে না,
তবে এই মসনবীর ছয়খণ্ড বইয়ের স্বাদ
হয়তো তোমার তৃষ্ণা এক মুহূর্তের জন্য মেটাতে পারবে।
কবিতাঃ কথা বলা এবং স্রষ্টার প্রেমের বৈচিত্র্য
কবিঃ জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি
অনুবাদঃ আলমগীর কাইজার
(কোলম্যান বার্কসের দ্য সোল অব রুমি বই থেকে)
No comments