শুয়োরের বাচ্চাদের হাতে শিল্পসাহিত্য

শিল্পসাহিত্য দিনদিন সম্পদশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে। মুভি বলতে কোটি-কোটি টাকার বাজেট, বিদেশি মাটিতে বড়ো-বড়ো দালানকোঠা। নাটক মানে নামিদামি গাড়ি, দামি ফ্লাট, ঘরভর্তি ফার্নিচার, দামি রেস্টুরেন্ট। গান হলো রোমান্স, লোকেশন আর হাই লেভেলের ভিডিও। কবিতাও চলে গেছে সেলিব্রিটিদের হাতে।

অথচ আমাদের কথা কেউ বলে না। আমাদের সবকিছু মাটির কাছাকাছি, অত উঁচুতে আমাদের মানায় না। আমাদের বেশিরভাগ ভালোবাসাই তো ঘাসের কার্পেট থেকে উঠে অস্থায়ী চা, চটপটি-ফুসকার দোকান, কমদামি হোটেল পর্যন্ত পৌঁছায়। এই গল্পগুলো লুকিয়ে ফেলে আমাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নামিদামি গাড়ি, ফ্লাট, ফাইভস্টার হোটেল-রেস্টুরেন্টে।

আমাদের সত্যিকারের গল্পটা কে বলবে? সব স্থানে গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর সাথে মশকরা করা হচ্ছে। একটা মধ্যবিত্ত যুবকের গল্প বলা হচ্ছে যে নাটক কিংবা সিনেমাতে, সেখানে থাকছে লাল-নীল আলো, দামি ব্রান্ডের ল্যাপটপ, গাড়ি, ফ্লাট, রেস্টুরেন্ট। 

যদি আমাদেরকে নিয়ে এভাবে ঠাট্টা করা হয়, গল্প-কবিতা-নাটক-সিনেমা-সাহিত্যে যদি আমাদের জায়গা কেড়ে নেওয়া হয়, তবে আমরা আমাদের ইশ্বরের কাছে ফিরে যাবো। দুহাত তুলে ইশ্বরের কাছে নালিশ করবো এই পৃথিবী আমাদের জন্য নয়, এই পৃথিবী দখল হয়ে গেছে শুয়োরের বাচ্ছা সম্পদশালীদের হাতে, তারা নিজেদের মধ্যবিত্ত বলে পরিচয় দেয় আবার কখনো নিজেদেরকে গরিব বলে পরিচয় দেয়। এই পৃথিবীতে আমাদের পরিচয় দেওয়ার মতো কোনো পরিচয় নেই।

© আলমগীর কাইজার 
০৩.০৫.২০২০



No comments

Powered by Blogger.